ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক প্রদেশের শহর বাখমুতে আক্রমণ-পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়া-ইউক্রেনের সেনারা মুখোমুখি। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময়। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন শহর কুপিয়ানস্ক রাশিয়া পুনরুদ্ধার করার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় সেখান থেকে বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন।
রুশ বাহিনী কয়েক মাস ধরেই বাখমুতে হামলা চলাচ্ছে। মাঝেমধ্যেই এলাকাটি রক্তক্ষয়ী রণক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার ভোলোদিমির নাজারেস্কো ইউক্রেনের এনভি রেডিওকে শুক্রবার বলেছেন, বাখমুতে ২৪ ঘণ্টা যুদ্ধ চলছে, যথাসম্ভব রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে চাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এদিকে, কিয়েভের জেনারেল স্টাফ বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনীয় বাহিনী বাখমুত ফ্রন্ট লাইনের পাঁচটি প্রধান সেক্টরে ৮৫টিরও বেশি আক্রমণ প্রতিহত করেছে।
আশপাশের শিল্পাঞ্চল দখলের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাখমুত দখলের চেষ্টা করছে মস্কো। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওইসব অঞ্চল হাতছাড়া হয়েছিল রুশ বাহিনীর।
খারকিভ আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, কুপিয়ানস্ক থেকে শিশুসহ বিভিন্ন পরিবার ও বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) জানান, রুশ বাহিনী কুপিয়ানস্ক শহরসহ এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বসতিতে কামানের গোলা, রকেট লাঞ্চার ও মর্টার হামলা চালিয়েছে।
কুপিয়ানস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসক জানিয়েছে, এই শহর ও আশেপাশের এলাকায় রাশিয়া ইতোমধ্যে হামলা শুরু করেছে। তাই সাধারণ বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদের সরিয়ে নেওয়া হবে তাদের আবাসন, খাবার, মানবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
সেখানকার ওয়ার স্টাডি ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, রুশ বাহিনী কুপিয়ানস্কের উত্তর-পূর্বে ‘সীমিত স্থল আক্রমণ’ চালিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে ক্রেমিনার আশপাশে আক্রমণাত্মক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কুপিয়ানস্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন রয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই রাশিয়া এটি দখল করে নেয়। পরে আবার তা পুনরুদ্ধার করে কিয়েভ। কিন্তু বর্তমানে এই জায়গাটিকে ফের টার্গেট করেছে রাশিয়া। তারা উঠেপড়ে লেগেছে এটি পুনরায় দখল করার জন্য।