যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শেষ হলো বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক। এতে অংশ নিয়ে বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে দুষলেন। বিতর্কে প্রসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন জয়ী হতে পারেনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি।
সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বাইডেন ও ট্রাম্পের মুখোমুখি বিতর্কে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিন ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে তাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বাইডেন। একইসঙ্গে ট্রাম্পের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাইডেন।
ট্রাম্পও বাইডেনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
বাইডেন বিশ্বকে নতুন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করত না।
জো বাইডেন এই মুহূর্তে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সম্পর্ক এমন খারাপ অবস্থানে নিয়ে গেছেন। তার কোনো সমাধান সম্ভাব না। ইউক্রেন এই যুদ্ধে জয়ী হয়নি। রাশিয়া তাদেরকে জয়ী হতে দেবে না বলে জানান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
একই সময় ট্রাম্প আরও বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে রাশিয়া দিনে দিনে সম্পূর্ণ ইউক্রেন দখল করতে চলেছে।
ট্রাম্প বলেন, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে অনিরাপদ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের সুনাম নষ্ট করেছেন। ইরানে বাইডেন নীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।
তিনি বলেন, বাইডেন নীতির কারণে হামাস ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে পেরেছে। সাড়ে তিন বছর ধরে আমরা নরকবাস করছি।
এছাড়াও তাদের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে অভিবাসন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ ও দুই নেতার বয়স।
তা ছাড়া বিতর্কের একপর্যায়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে একে অপরকে দুষলেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের এই দুই প্রার্থী।
এর জবাবে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চায়।
বিতর্কে বাইডেনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংকটে কেন ভোটাররা তার ওপর আস্থা রাখবেন।
জবাবে বাইডেন বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় সীমান্ত বিল পাশ করার জন্য তার প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে।