বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুর মুদ্রানীতির কেন্দ্রে থাকবে সুদহার। এবারের মুদ্রানীতিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ জন্য নীতি সুদহার তথা রেপো ও রিভার্স রেপোর সুদ বাড়তে পারে।এ ছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে নতুন ব্যবস্থার ঘোষণা আসছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আগামী জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
এবারের মুদ্রানীতিতে যেসব পরিবর্তন আসছে তার বেশিরভাগই হচ্ছে আইএমএফের শর্ত পরিপালনের জন্য।
বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ব্যাংকগুলোর কাছে ধারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পুনঃক্রয় চুক্তির (রেপো) সুদহার ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬ শতাংশ নির্ধারণ করে। আর ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বিপরীত পুনঃক্রয় চুক্তি (রিভার্স রেপো) সুদ বেসিস পয়েন্ট ২৫ বাড়িয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ করে। করোনার প্রভাব শুরুর পর রেপো ও রিভার্স রেপোর সুদহার অনেক কমানো হয়।
বিশ্বব্যাপী চার ধরনের লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক মুদ্রানীতি প্রচলতি। এগুলো হলো– সুদহার, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রা সরবরাহ এবং বিনিময় হার। বাংলাদেশ ব্যাংক এত দিন ‘মূল্যস্ফীতি টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে আসছিল। তবে আইএমএফের পরামর্শে এবারে ‘সুদহার টার্গেটিং’ হবে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা এবং সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমান বাস্তবতায় যা বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বাংলাদেশ ব্যাংকও মনে করে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।