ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ আগামী রবিবার আসছেন ঢাকায়।এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরো সুসংহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ফ্রান্স।
গত বুধবার ফ্রান্স দূতাবাস এক টুইট বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রকাশ করেছে।টুইট বার্তায় লেখা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ সফর ছিল ১৯৯০ সালে। বন্যাদুর্গত বাংলাদেশের জন্য উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ছিল সেই সফরে।
ফ্রান্স দূতাবাস টুইট বার্তায় আরও লিখেছেন ,৩৩ বছরে আমরা অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। বিগত বছরগুলোয় আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শক্তিশালী হয়েছে।
ফ্রান্স দূতাবাস টুইট বার্তায় আরো লিখেছে- আগামী বছরগুলো আমাদের অংশীদারি আরো সুসংহত করবে, এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।
বাংলাদেশকে উল্লেখ করে ফ্রান্স দূতাবাস বলেছে-দ্রুত অগ্রগতির পথে থাকা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে ফ্রান্স অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আরো বেশি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর ছিল দুই দেশের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক। ওই সফরের সময় যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়নসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব খাতে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এ ছাড়া দুই দেশই আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় পরিমণ্ডলে সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছিল।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স—দুই দেশই ২০২১ সালে অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ার অভিন্ন লক্ষ্যের কথা বলেছে। বাংলাদেশ গত এপ্রিলে ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা ঘোষণা করেছে। ফ্রান্স আরো আগেই তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি ঘোষণা করেছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ফ্রান্স ও বাংলাদেশ—দুই দেশের ইন্দো-প্যাসিফিক ভাবনায় ‘অন্তর্ভুক্তির’বিষয়টি আছে। তাই এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাস জানিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে আলোচনা করবেন।
২০২১ সালের যৌথ বিবৃতিতে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ তাদের অংশীদারির মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সম্পর্ক আরো জোরদারের কথা বলেছে।প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আগ্রহের বিষয়ে দুই দেশ একটি পত্র স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে।