সুজন হালদার
দীর্ঘ ব্রিটিশ শাসনে নিষ্পেষিত, অধিকারবঞ্চিত বাঙালির জন্য স্বাধীকার এবং স্বাধীনতা- অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীন পাকিস্তান এ জনপদের মানুষকে নতুন করে পরাধিনতার শৃংখলে আবদ্ধ করে।
বাঙালির শত বছরের আরাধ্য স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষ্যে স্বপ্ন বুনতে প্রত্যয়ী হন – সেদিনের তরুন রাজনীতিবিদ শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শুরু হয়- পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ।
রাষ্ট্রভাষা আন্দলোনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৯ সাল। পাকিস্তানের প্রথম কার্যকর বিরধীদল হিসেবে আওয়ামী লীগের আত্নপ্রকাশ। বাঙালির উদারপন্থী জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জের মিউচুয়াল ক্লাব ও খান সাহেব ওসমান আলির বাড়িতে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন।
২৩ জুন ১৯৪৯। পাকিস্তান সামরিক জান্তার রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক ও শেখ মুজিবুর রহমান কারাবন্দী অবস্থায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দলোন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম লাভ করে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তির মিছিলে শামিল করেন।
৭৫ এ স্বাধীনতাবিরোধিদের বুলেটে স্বপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ব্যাহত হয় জাতির স্বপ্নযাত্রা। ১৯৮১ সালে জাতির বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ফের সংগঠিত হয়। ঘুরে দাঁড়ায় জাতি।
১৯৮১-২০২২ শেখ হাসিনার আপষহিন ও দুরদর্শি নেতৃত্বে দেশে গনতন্ত্র বিকশিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার। ১৯৭২ সালে শুন্য থেকে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ উন্নয়নশিল দেশের মর্যাদা লাভ করে।