The news is by your side.

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেবে না ভারত, যে সিদ্ধান্ত নিল সামিট

0 140

ভারতের বিদ্যুৎ আমদানি নীতির পরিবর্তনের কারণে সামিট গ্রুপ বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আজিজ খান।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক সপ্তাহের মাথায় ভারত সরকার নতুন এক নীতিমালা প্রণয়ন করে। নতুন নীতিমালা অনুসারে, যেসব প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে বাইরের দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করছিল, তারা এখন স্থানীয়ভাবেই তাদের বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। এতে করে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারবে না আদানিসহ অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই আইনের কারণে ভারতের একমাত্র শতভাগ রপ্তানিমুখী বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আদানি গ্রুপের মালিকানাধীন গোড্ডা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশটির জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্যই তৈরি করা হয়েছিল।

দেশের বাইরে থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করতে চায় সামিট। আজিজ খান বলেন, ‘নীতিমালার পরিবর্তনের পর আমাদের ভারতীয় অংশীদারেরা হয়তো ভারতেই বিক্রি করতে বেশি আগ্রহী হবেন। আমাদের কোম্পানি বাংলাদেশে সঞ্চালন লাইন তৈরিতে বিনিয়োগ করবে এবং তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।’

রয়টারর্সে তথ্য অনুযায়ী, সামিট গ্রুপ বাংলাদেশে এক ডজনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিচালনা করছে। কোম্পানিটি গত বছর টাটা পাওয়ার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডসহ ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে ১ হাজার মেগাওয়াট পুনর্নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নির্মাণ এবং উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

প্রকল্পটির বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে টাটা পাওয়ারের পক্ষ থেকে সামিটের পরিকল্পনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

আজিজ খান জানান, সামিট পাওয়ার নীতিগত বিষয়গুলো স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগ বিলম্বিত করা এবং উচ্চ ঝুঁকির জন্য আর্থিক শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা করাসহ বিকল্পগুলো পর্যালোচনা করে দেখছে। ভারতের বিদ্যুৎ রপ্তানি নীতিমালায় পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নীতিতে এ ধরনের দ্রুত পরিবর্তন সব সময়ই উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে।’

সামিট গ্রুপের প্রধান বলেন, বাংলাদেশে নতুন সরকারের কারণে নেপাল ও ভুটানে নির্মিত জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ভারত হয়ে যে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কথা ছিল সেখানে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে। তিনি জানান, আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তার কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.