মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ১১৫ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় আছে আরও ১১৪ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ২২৯ জন সদস্য।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উখিয়ার থাইংখালি ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ডুকলে বিজিবির সদস্যরা তাদের নিরাপদে আশ্রয় দেয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন,সীমান্তে প্রচুর গোলাগুলি চলছে। এ ঘটনায় থাইংখালি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে ১১২ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে ডুকে পড়ে। পরে তাদের কে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। অপরদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে ঢুকে আরও ২ জন।সব মিলিয়ে ১১৪ জন বিজিবির হেফাজতে আছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি খুব খারাপ অবস্থা ওপারে চলছে। এপারে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে সকাল ৯টার দিকে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেল আঘাত হেনেছে ঘুমধুম বেতবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ছৈয়দ নুর শিকদারের বসতঘরে! এ সময় বসতবাড়ির জানালা ও গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রচণ্ড শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কেউ আহত হননি।
কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের ওপারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছেন বিজিপির সদস্যরা। হাতে অত্যাধুনিক রাইফেল থাকা স্বত্বেও বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির হাতে প্রাণ হারানোর ভয়ে ভীত তারা। অবশ্য বাংলাদেশ সীমান্তে আসার পর পরই তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে বিজিবি। আর গুলিবিদ্ধ ১৫ জনকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে।