বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ কমিটি গঠন করেছে ভারত সরকার।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার দুপুরে তার এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন— ‘বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (‘আইবিবি’ বা ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বর্ডার) নজর রাখতে মোদি সরকার একটি কমিটি তৈরি করেছে।’
‘এই কমিটি বাংলাদেশে তাদের কাউন্টারপার্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেলগুলো উন্মুক্ত রাখবে, যাতে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়।’
বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) এই কমিটির প্রধান হবেন বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার রাতে যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তখনও হিন্দুদের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে তার পোস্টে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানানোর পর নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘আমরা আশা করি, (বাংলাদেশের) পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং হিন্দু ও অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, বাংলাদেশের বহু জায়গায় হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে, তাদের ঘরবাড়ি-দোকানপাট-ব্যবসা ও মন্দির আক্রান্ত হচ্ছে বলেও তারা খবর পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারত বিচলিত এবং এই উদ্বেগের কথা ঢাকায় উপযুক্ত চ্যানেলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর টুইট থেকেও সেই বক্তব্যই কার্যত সমর্থিত হলো। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারত যে পাশের দেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় চুপ করে হাত গুটিয়ে নেই– এই কমিটি গঠন বা অন্যান্য পদক্ষেপে সেটারই প্রতিফলন ঘটছে।