The news is by your side.

বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করবে জাতিসংঘ

0 93

জেনেভায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট রেকর্ডগুলো যাচাই করা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) ওয়ার্কিং গ্রুপ এই যাচাই কাজটি করবে।

স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদন আকারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই অধিবেশনে যে ১০টি দেশের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

বাংলাদেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় রিভিউ সম্পন্ন হয় যথাক্রমে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ২০১৩ সালের এপ্রিলে এবং ২০১৮ সালের মে মাসে। ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। তবে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রত্যেক দেশ পর্যালোচনায় অংশ নিতে পারে।

পর্যালোচনাগুলো যে নথিগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে সেগুলো হলো- ১. জাতীয় প্রতিবেদন- পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রের দেওয়া তথ্য। ২. নিরপেক্ষ মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গ্রুপ- যা স্পেশাল প্রসিডিউর নামে পরিচিত, মানবাধিকার চুক্তি বিষয়ক সংস্থা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর দেয়া রিপোর্টের তথ্য। ৩. জাতীয় মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের গ্রুপগুলোসহ অন্য অংশীদারদের দেওয়া তথ্য।

ইউপিআর হলো জাতিসংঘের ১৯৩টি রাষ্ট্রের সবার মানবাধিকার পর্যালোচনাকারী একটি সংগঠন। ২০০৮ সালের এপ্রিলে এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সব দেশ নিয়ে তিনবার পর্যালোচনা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রগুলো পূর্বের শুনানিতে যেসব সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা সাম্প্রতিক মানবাধিকার রিপোর্টে কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা যাচাই করে দেখা হবে। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বাংলাদেশের পর্যালোচনাকারী হিসেবে যে তিনটি দেশ র‍্যাপোর্টিউর হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছে তারা হলো- কিউবা, পাকিস্তান ও রোমানিয়া। এতে বাংলাদেশের জন্য যেসব সুপারিশ করবে ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপ তা বুধবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে গৃহীত হওয়ার শিডিউল আছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.