যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো দলের বিরুদ্ধে বা কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশিরা যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে- এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা। বুধবার ঢাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিদেশের একটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো দেশ কীভাবে অন্য একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের তৎপরতা চালাতে পারে? এটি কি কোনো রীতিতে পড়ে? পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ ধরনের তথ্য শোনা গিয়েছিল। দূতাবাস কি বিদেশের গণমাধ্যমের ওই খবরের বিষয়ে মন্তব্য করবে?
এ প্রশ্নের জবাবে ব্রায়ান শিলার বলেন, বাংলাদেশে ব্লকড ওই অনলাইন আউটলেটের প্রতিবেদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত। ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করে’। নির্বাচন শুধু ভোটের দিনে কীভাবে তা পরিচালিত হয় তা নয়, বরং নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম এবং অন্যান্য অংশীদারদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ।
তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যরা অনেকবার বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে একটি দলের বিরুদ্ধে আরেকটি দলের পক্ষ নেই না বা এখানে আমাদের বিশেষ পছন্দ নেই। আমরা চাই, বাংলাদেশের জনগণ তাদের নিজেদের নেতা নির্বাচন করতে সক্ষম হোক।