বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এখনও আলাপ-আলোচন চলছে। বুধবার রাশিয়ান দূতবাসে এ কথা জানান তিনি।
গত ১৮ আগস্ট বাংলাদেশে পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রস্তাব দেয়ে রাশিয়া। দেশে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধনের সুবিধা না থাকায় নতুন এ প্রস্তাব দেয় মস্কো।
জ্বালানি বিভাগের সূত্র অনুসারে, প্রস্তাব এসেছে বর্তমান বিশ্ববাজারের তুলনায় কম দামে জ্বালানি তেল পাওয়ার।
১৬ আগস্ট রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেটিকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন জ্বালানি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়তে থাকে জ্বালানি তেলের দাম। আর ঠিক তখনই মিত্রদের কাছে তুলনামূলক বেশ কম দামে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে রাশিয়া। পশ্চিমা চোখ রাঙানির মধ্যেও সে সুযোগ লুফে নেয় প্রতিবেশী ভারত, চীনসহ অনেকেই।
শুরুতে বাংলাদেশের কাছেও এসেছিল কম দামে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার বিক্রির প্রস্তাব। কিন্তু দেশের রিফাইনারিতে রাশিয়ার ভারি অপরিশোধিত তেল পরিশোধনের সক্ষমতা না থাকায় তাতে সায় দিতে পারেনি জ্বালানি বিভাগ। আর এবার পরিশোধিত জ্বালানি তেলই বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় রাশিয়া।