বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
শুক্রবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন। সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। নির্বাচন কমিশন সেই আপিল মঞ্জুর করেন।
হলফনামায় সম্পদ বিবরণীতে অসত্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে বুধবার নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন জাহিদ ফারুক শামীমের মনোনয়নপত্রের সমর্থনকারী কে বি এস আহমেদ। তিনি আমেরিকার নাগরিক এবং সেখানে তাঁর স্ত্রীর বাড়ি থাকার তথ্য হলফনামায় গোপন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অবৈধ প্রার্থীদের আপিল কার্যক্রম চলেছে ৫-৯ ডিসেম্বর। এসব আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর যা চলবে আজ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।
মহানগরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ ফারুক এবং সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। প্রতিমন্ত্রীর সমর্থক মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুর করীম জানান, হলফনামায় স্ত্রীর আমেরিকায় বাড়ি থাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে যাচাই-বাছাইকালে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে এফিডেভিট আকারে না হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবেদন নাকচ করে সাদিকের প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন। এরই মধ্যে তারা সাদিকের আমেরিকায় নাগরিকত্ব থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। সাদিকের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণসহ ইসির আপিল বিভাগে গতকাল ফের আবেদন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, আমেরিকার নিউইয়র্কে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ভোটার নম্বর ৪১০৯০৪০০৭। ঠিকানা ৮৯-৬৮, ২১৫ প্লেস, কুইন্স ভিলেজ, নিউ ১১৪২৭। তাঁর স্ত্রী লিপি আবদুল্লাহর নিউইয়র্কে ভোটার নম্বর ৪১০৯১৪০৮৮। স্ত্রীর নামে নিউইয়র্কে বাড়ির ঠিকানা ৮৯-৬৮, ২১৫ প্লেস, কুইন্স ভিলেজ, নিউ ১১৪২৭, ব্লক ১০৬৫৮।