বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে আলোচনা রয়েছে নাগরিকদের মাঝে। কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতকে ভোগাবেন ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (প্রতীক হাতপাখা)।
কেউ আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এগিয়ে রাখছেন জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপসকে। বিএনপির ভোটারদের সহানুভূতি পেলে তাদের প্রয়াত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন অঘটন ঘটাতে পারেন বলছেন অনেকে।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছয়জন।
সর্বাধিক আলোচনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১৫ আগস্টের শহীদ কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছেলে ও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে এবং একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত।
নির্বাচনে খোকন সেরনিয়াবাতের একতরফা বিজয় দেখছেন অনেকে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিমও চমক দেখাতে পারেন বলছেন একশ্রেণির নাগরিক।
জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপসকে নিয়েও আশাবাদী অনেকে। শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রয়াত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন প্রার্থী হয়ে তাদের সমর্থক গোষ্ঠীর সমর্থন পেলে ভোটের সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছাহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, নগরীর চৌমাথা এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ী লুৎফুল কবির এবং সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের বিএনপি ঘরানার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন হাওলাদার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, মানুষ ভোট দেয় কেন, তারা একেকটা রাজনৈতিক দল পছন্দ করে কেন। মানুষ শান্তি, মুক্তি, বাকস্বাধীনতা, অধিকার ও উন্নয়ন চায়। চুরি না হোক, ডাকাতি না হোক, ইভ জিটিং না হোক, মাদক না থাকুক সেটা চায়। স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভাবতেছে আমরা একজন অভিভাবক পাব। অন্য দলের কেউ মেয়র হলে একদল আরেক দলকে লড়াবে, ঝাঁপাবে, পেটাবে। কেউ দখল করবে, কেউ বঞ্চিত হবে, কেউ হবে নির্যাতিত। সবাই মনে করে ‘হুজুর’ (প্রার্থী) নির্বাচিত হলে তিনি আমাদের সবার নিরাপত্তা প্রদান করবেন।
সরকারের নিজের প্রয়োজনেই একটা ফেয়ার নির্বাচন করা উচিত বলে মনে করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ও দলের সিনিয়র নায়েবে আমির ফয়জুল করিম।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, বরিশাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় নগরবাসী অন্যরকম অনুভূতি পাচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনে কর্মপরিধি-পরিষেবা বৃদ্ধি করব। বরিশালকে শান্তিময় তিলোত্তমা নগরী গড়ব। ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।