জহির রায়হান,বরিশাল
বরিশালে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার পাল্টাপাল্টি ধর্মঘটের ডাকা দিয়েছেন বাস মালিক ও থ্রি হুইলার শ্রমিকরা। প্রথমে মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও ভাড়ায় চালিত মটোরযান চলাচল বন্ধের দাবীতে ধর্মঘটের ডাক দেন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ।
বাস মালিকদের হয়রানী ও অযুক্তিক দাবীর বিরুদ্ধে ৫ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ধর্মঘটের ডাক দেন বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নটি।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছেন আগামী ৫ নভেম্বর বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ কে কেন্দ্র করে এসব নাটক সাজাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপ ও থ্রি হুইলার শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পড় থেকেও বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলের বাস চলাচলের চাপ বাড়ছে কয়েকগুন।
একমূখী চলাচলের কারণে মহাসড়কে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূর্ঘটনায়। এর অনেকটাই দায়ী মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও ভাড়ায় চালিত মটরযান চলাচল ।
বার বার বলা সত্বেও কোনভাবে মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও ভাড়ায় চালিত মটরযান বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টা বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখে কঠোর ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বরিশাল বাস মালিক গ্রুপ।
তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ধর্মঘট পালন করবে বরিশাল বিভাগের বাকি ৫ জেলাসহ ফরিদপুর ও মাদারীপুর বাস মালিক সমিতি বলে জানিয়েছেন বরিশাল বাস মালিক গ্রুপ। জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক চালকদের হয়রানি বন্ধ করা, মেট্রোপলিটন এলাকায় নির্দিষ্ট পার্কিং এর যথাযথ ব্যবস্থা করা, মেট্রোপলিটন এলাকায় সব রুটে থ্রি-হুইলার গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা, গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে ভাড়ার চার্ট প্রদান করা, সহজ শর্তে দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা সহ এই ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশাল জেলার সকল রুটের থ্রি-হুইলার আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বন্ধ রাখা এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই দুইদিন সকল রুটের থ্রি-হুইলার গাড়ি বন্ধ থাকবে বলে নিশ্চিত করে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোশফিকুর রহমান দুলাল।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরওয়ার জানান, আগামী ৫ নভেম্বর বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ বাস মালিক ও থ্রি হুইলার শ্রমিক সংগঠন কে চাপ দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ানো হয়েছে৷ কোন ধর্মঘটেই কাজ হবে না।