জহির রায়হান,বরিশাল
শারদীয় দুর্গোৎসবে এ বছর বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার এক হাজার ৭৬৬ পূজামণ্ডপে উদযাপিত হবে দুর্গাপূজা। মন্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। মাটির অবয়বের কাজ শেষে শুরু হবে রং তুলির আচরে অলংকরণ, সজ্জায়নের কাজ। তাই প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের মৃৎ শিল্পীরা।
বরিশাল জেলার ১০ উপজেলা ও মহানগরীসহ এ বছর মোট ৬০০ মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে । বরিশাল মহানগরীতে ৪৫টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এবছর জেলায় নতুন ১১ টি পূজা মণ্ডপ বেড়েছে।
বরগুনা জেলার ছয় উপজেলায় ১৬১ টি, ঝালকাঠী জেলার চার উপজেলায় ১৬৮ টি, পিরোজপুরের সাত উপজেলায় ৫৩৬টি, ভোলায় ১১৬টি মণ্ডপে এবং পটুয়াখালী জেলায় ১৮৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে ।
বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী জানান, আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে চলছে চারদিকে সাজ সাজ রব।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্র থেকে পাঠানো ২৬ দফার নির্দেশনা সব মন্দির ও পূজা কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে। এ নির্দেশনা মেনেই সবাইকে পূজা উদযাপন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, প্রতিবছরের ন্যায় বরিশাল বিভাগে এবছরও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করার প্রস্তুতি চলছে। তাই পুরো উৎসব কে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে জড়িত কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিআইজি ।
ডিআইজি বলেন, পূজা মন্ডপ গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ, অধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরি অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে। পূজা উৎসবকে ঘিরে উদযাপন কমিটির নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ও আনসার সদস্যদের ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশি টহল, র্যাব-আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থা নিয়োজিত থাকবে। যাতে পূজামণ্ডপগুলো বেশি নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
আসন্ন শারদীয় দূর্গপূজা কে সামনে রেখে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ আর নির্বিঘ্নে পালনের লক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা-উপজেলা ও মহানগরীর সভাপতি/সম্পাদকের সাথে পুলিশের বিশেষ আইন-শৃঙ্খলার সভা চলমান রয়েছে।