ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের সব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সোমবার দুপুর আড়াইটার বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম।
সকাল ৬টা থেকে প্রথমে অভ্যন্তরীণ ও পরে দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় বিআইডব্লিউটিএ।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান জানান, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য ৩ হাজার ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র আগেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভোলা উপজেলায় দায়িত্বরত গেজ রিডার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার বেলা ১টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার মধ্যরাতে পানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস আজ বিকেল ৪টায় জানান, বিকাল ৩টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ১৫ থেকে ২০ নটিকেল মাইলের মধ্যে ওঠানামা করেছে।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাতের মধ্য ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এলাকা অতিক্রম করবে। এ কারণে সন্ধ্যার পর বৃষ্টি ও বাতাস বাড়বে।