বরিশাল অফিস
বরিশালে মোটরসাইকেলের হর্ণ বাজানো কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মারধরের স্বীকার হয়েছে আগৈলঝাড়া থানার ভূদেব বিশ্বাস নামে এক পুলিশ কনস্টেবল।
এঘটনায় আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তিনজন কে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাইক ও তার দুই সহযোগী এবং স্বজন জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ফরিয়া ও জহিরুল ইসলাম পাইক।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম।
এসময় তিনি জানান, আহত পুলিশ কনস্টেবল ভূদেব বিশ্বাস বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগ এনে শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে আগৈলঝাড়া থানায় ৮ জন নামদারী ও দুই তিনজন অজ্ঞাত সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
বাকী আসামিরা হলেন- মনির হোসেন পাইক, শহিদ পাইক, সান্টু ফকির, রুহুল ফরিয়া ও আবু বকর পাইক।
আহত পুলিশ কনস্টেবল ও মামলার বাদী ভূদেব বিশ্বাস বলেন, শনিবার (৮ এপ্রিল) ডিউটি কার্যক্রম পরিচালনাকালে ইফতারের আগ মুহূর্তে মোটরসাইকেলে করে আগৈলঝাড়া থানার দিকে ফিরছিলেন তিনি।
ফেরার পথে আগৈলঝাড়া বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে জাকির পাইকসহ মামলার আসামিরা সড়ক আটকে গল্প করায় তিনি মোটরসাইকেলের হর্ণ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির পাইক আকস্মিক তাকে কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করে।
তখন আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দিলে জাকির পাইকসহ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা একজোট হয়ে মারধর শুরু করে।
ওইসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসতে চাইলে হামলাকারীরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।