সরকারি চাকরির নীতিমালা ভঙ্গ করে গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার করায় ‘ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মেদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রীর নিজ নির্বাচনি এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, অফিস প্রধানের অনুমোদন নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে হয়। তিনি সেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সরকারি পদে থেকে সরকার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন। তিনি এ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করেননি। এসব দোষে তিনি দোষী।এ নিয়ে গত তিন দিন ধরে অপেক্ষা করেছিলাম যে তিনি পদত্যাগ করবেন। কিন্তু পদত্যাগ না করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছান।এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা জানতে চান, এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না। জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন।এ বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি বলেন,‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁর সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি। শতাধিক নোবেলজয়ীদের ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে, এমন দাবি করে এমরান আহম্মদ বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে।আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।
পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাঁকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত, অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।’