পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একদিনে ১১টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ওই সব ট্রলারে ১৬০ জন জেলে ছিলেন। এর মধ্যে ১২৬ জন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩৪ জন।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মাছধরার কাজে ব্যবহৃত ট্রলারগুলো ডুবে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- এমবি মামনি (৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মিঝি, এফবি নুরবানু এবং এফবি মায়ের দোয়া। এ ছাড়া নাম বিহীন ভোলার চরফ্যাশনের একটি, গলাচিপার পানপট্টির একটি, কলাপাড়ার লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি ট্রলার রয়েছে।
নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন ও আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এ সময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১২৬ জেলে উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জন। এর মধ্যে নিখোঁজ ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিল। আর ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারে ছিল। আর এফবি রফিক মিঝি ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় ওই ট্রলারের মালিক রফিক মিঝি (৬০) নিখোঁজ হন।
এদিকে অন্য একটি ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন ওই ট্রলারের জেলে বাবুল (৩৫)।
ট্রলারডুবির পর উদ্ধার হওয়া জেলেদের কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাপাতাল ও মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মণ্ডল বলেন, ‘সাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।’