‘ফ্লোরপ্রাইস’ তুলে নেওয়ায় শেয়ার বাজারে মূল্যসূচকের বড় পতন
আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
‘ফ্লোরপ্রাইস’ তুলে নেওয়ার পর রবিবার দেশের শেয়ার বাজারে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯৬ পয়েন্টের বেশি। তবে লেনদেনের শুরুতে প্রধান সূচকটি ২৪০ পয়েন্ট কমে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও বড় ধাক্কা সামলে উঠে লেনদেন শেষ হয়েছে।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, লেনদেনের শুরুতে কিছু বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে বাজারে সূচকের বড় পতন হয়। কিন্তু পরে আবার বিক্রয় চাপ কমে আসে। তারা বলেছেন, ফ্লোরপ্রাইস উঠে যাওয়ার পর কোনো কোনো ভালো শেয়ারের দর গতকাল বেড়েছে। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক। বাজারের এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোরপ্রাইস ( শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য স্তর) তুলে নিয়েছে। শেয়ার বাজারের সূচকে প্রভাব ফেলে এমন ৩৫টি কোম্পানি ছাড়া বাকি সব শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়ার পর গতকাল প্রথম লেনদেনে শেয়ার বাজারে সূচকের বড় পতন হয়।
বিনিয়োগকারীরা অনেকে আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করেন। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৬.৫০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪০ পয়েন্টে নেমে আসে। এছাড়া, ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। তবে ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে উঠেছে। এদিন এই বাজারে ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনকৃত ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ২৯৬টির দরই কমেছে। দর বেড়েছে মাত্র ৫৪টির। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৭৬ পয়েন্ট।
বাজারের বর্তমান অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেছে শীর্ষ ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরাম। ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দেশের ৩০টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের সিইও অংশ নেন।