সোমবার দিবাগত রাতে চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের ফেসবুকে কয়েকটি স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফাঁস হয়। কীভাবে সেসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়েছে, তা নিজেও বুঝতে পারছেন না বলে জানালেন এই অভিনেতা। যদিও সেসব ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে, তারপরও ফেসবুকে এসব নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। পুরো ব্যাপারটি সম্পর্কে জানতে প্রথম আলো যোগাযোগ করেছে শরীফুল রাজের সঙ্গে।
কোথায় আছেন?
আমি এই মুহূর্তে একটি ফটোশুটে আছি। সকাল থেকেই সেই শুটিং নিয়ে কাহিল অবস্থা।
আপনার ফেসবুক থেকে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট হয়েছে, যেখান থেকে অভিনয়শিল্পী সুনেরাহ, তানজিন তিশার ভিডিও ফাঁস হয়েছে। সুনেরাহ পোস্ট দিয়ে বলছেন, আপনার ফেসবুক নাকি হ্যাক হয়েছে?
কই না তো। আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়নি, কিন্তু যেগুলো আমার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট হয়েছে দেখাচ্ছে, ওসব আসলে আমার আইডি থেকে হয়নি, এটা নিশ্চিত। কীভাবে কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।
কিন্তু স্ক্রিনশটে তো দেখা যাচ্ছে আপনার আইডি।
আমিও তো কিছুই বুঝতে পারছি না। এটাই তো সমস্যা। পুরো ব্যাপারটা আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
ফেসবুকে ভিডিওগুলো পোস্টের কিছু সময় পর মুছেও ফেলা হয়েছে। ওটা কি তাহলে আপনি করেছেন?
এটাও আমি জানি না। আমার আইডি থেকে আমি কিছুই পোস্ট করিনি। পরে শুনি ডিলিট হয়েছে। পুরো বিষয়টা নিয়ে আমি বিব্রত। সকাল থেকে আমাকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এটা কি তাহলে ক্লোন কিছু?
আমি কিছুই ফাইন্ডআউট করতে পারছি না। কিন্তু যেহেতু আমার আইডি দেখাচ্ছে, বিষয়টা আমিও জানতে চাই।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই স্থিরচিত্র ও ভিডিওগুলো তো খুবই প্রাইভেট। এসব তো আপনাদের ছাড়া অন্য কারও কাছেই থাকার কথা নয়। আপলোড হলো কীভাবে?
আপনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান মানুষ। আমি মনে করি, আপনারাও এটা বুঝবেন। আমার কাউকে সন্দেহও হয় না। তবে আমি পুরো ব্যাপারটা বোঝার ট্রাই করছি। ঘুম থেকে ওঠার পরই আমি এটা দেখলাম।
কালকে ঘুমিয়েছেন কখন? সকালে উঠেছেন কখন?
রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে ঘুমিয়েছি। সকালে যখন উঠেছি, তখনই এসব শুনলাম। আমার জন্য পুরো ব্যাপারটা ভীষণ অস্বস্তিকর।
কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না?
দেখি, আমার মুরব্বিরা আছেন, অভিভাবকেরা আছেন, তাঁদের সবার সঙ্গে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তবে এখনো আমি কাউকে সন্দেহ করতে চাই না।
ছবি ও ভিডিও ছড়ানো যে হলো, এসব নিয়ে বক্তব্য কী?
সুনেরাহ ও তানজিন তিশা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভীষণ ভালো বন্ধু। সুনেরাহর সঙ্গে আমি দারুণ একটা সিনেমার কাজ করেছি। তিশার সঙ্গে আমার কিন্তু কাজও হয় নাই। কিন্তু উই অল আর গুড ফ্রেন্ড। আমি নিজেও বিব্রত। সবাইকে নিয়ে মানুষ যেভাবে কথা বলতেছে, এটা সত্যিই অস্বস্তিকর।
এই ছবি ও ভিডিওগুলো কবেকার?
বছর পাঁচেক তো হবেই, ‘ন ডরাই’-এর শুটিংয়ের সময়ে। প্ল্যান করে কিছুই শুট করা না। কিন্তু এত বছর কেমনে এখন এসব ব্যাখ্যা করব, নিজেও জানি না।
এসব ভিডিও কোথাকার?
ঢাকার রাস্তায় র্যান্ডমলি করা। হ্যাংআউট করি না। আমরা মজা করছিলাম, মজাচ্ছলে ভিডিওগুলো করা। কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সত্যি বলতে ওরা আমার কাছের বন্ধু। কোনো উদ্দেশ্যে এসব ভিডিও করা নয়। আরও ভয়ংকর কথা হচ্ছে, এসব ভিডিও ফুটেজ আমার বর্তমান ব্যবহার করা মোবাইলেও নাই। কীভাবে এসব ভিডিও ছড়াল, এটাই বড় প্রশ্ন। আমার আগের ফোনটা অনেক আগে হারিয়ে গেছে। কেউ না কেউ তো আছে, যারা এসব ভিডিও ছড়িয়েছে।
সুনেরাহর সঙ্গে এ বিষয়ে আপনার কথা হয়েছে?
কথা হয়েছে। সুনেরাহই ফোন দিয়েছিল। সে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, এগুলো কী? সবাই তো বিব্রত।
সুনেরাহ একটা পোস্ট দিয়েছেন, সেখানে আপনার স্ত্রীকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
এটা আমি এখনো দেখিনি। দেখার পর বুঝতে পারব।