বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ খোয়ানোর পাঁচদিন পরেই ওপেনএআইয়ে ফিরলেন অল্টম্যান। চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ গত শুক্রবার স্যাম অল্টম্যানকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
অল্টম্যানকে সরানোর পরেই পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন ওপেনএআইয়ের কয়েকশ কর্মী। এই নিয়ে তারা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে লেখা খোলা চিঠির মাধ্যমে তারা পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন। এরপরেই অল্টম্যানকে ফের আগের পদে ফিরিয়ে আনা হলো।
নতুন এই ঘোষণার পর অল্টম্যান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, আমি আবার ওপেনএআইয়ে ফেরার দিকে এগুচ্ছি।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি ওপেনআইকে ভালবাসি এবং গত কয়েকদিন ধরে আমি যা করেছি তা এই টিম এবং এর মিশনকে একত্রে রাখার সেবায় রয়েছে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী স্যাম ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তাকে বরখাস্ত করায় ওপেনএআইয়ের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন গ্রেগ ব্রোকম্যান। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা।
স্যামকে বরখাস্ত করায় গত সোমবার ওপেনএআই-র পরিচালনা পর্ষদের কাছে লেখা চিঠি দুটিতে দাবি উপস্থাপন করেন কর্মীরা। প্রথমত, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া সিইও স্যাম অল্টম্যান ও পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যানকে প্রতিষ্ঠানটিতে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
কর্মীরা আরও জানান, তাদের এ দাবি মেনে নেওয়া না হলে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০০ কর্মী একসঙ্গে চাকরি ছেড়ে দেবেন। প্রয়োজন হলে তারা স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যানের সঙ্গে মাইক্রোসফটে যোগ দেবেন। তবে শেষমেশ স্যাম আবার ওপেনআইতে ফিরছেন।