ফেব্রুয়ারিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ১ বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন, তাবাসসুম ইসলাম, ইসরাত জাহান মিম, মোয়াবিয়া জাহান ও হালিমা খাতুন ঊর্মি।
শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে অনুষ্ঠিত ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। সভা শেষে প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
প্রক্টর বলেন, ঘটনাটি ঘটার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের যে প্রতিবেদন আমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছিল তার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কোড অব কন্ডাক্টের আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তরাসহ অভিযুক্ত পাঁচজনের প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট ১৯৮৭-এর পার্ট-২ এর ধারা-৮ মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে। এটাই বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি। এটিই আমরা উচ্চ আদালতে প্রেরণ করব।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে রাতভর নির্যাতন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে হলো বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া হলো প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।