৩০ অক্টোবর রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদ, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানের সমাবেশে বক্তব্য দেন পুতিন। সেখানে একদিকে ইউক্রেন, অন্যদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন; এই দুটি যুদ্ধের বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান পুতিন স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেন।
পুতিনের ভাষায়, ‘গাজায় এখন যে ভয়ংকর ঘটনা ঘটছে, তার কোনো ন্যায্যতা নেই। সেখানে লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, যাদের বোমা হামলা থেকে পালানো বা আড়ালে যাওয়ার জায়গা নেই। আপনি যখন রক্তমাখা ও মৃত শিশু দেখেন ; নারী ও প্রবীণের দুর্ভোগ দেখেন এবং আপনি যখন দেখেন চিকিৎসকদের হত্যা করা হয়েছে, তখন আপনার মুঠ শক্ত হয়ে আসবে এবং আপনাআপনি চোখে পানি চলে আসবে।’
পুতিন স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ও তার অনুচরেরাই‘বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা ও রক্তাক্ত যুদ্ধের প্রধান সুবিধাভোগী। তাঁর ভাষায়– ‘তাদের কৌশলও পরিষ্কার। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং তার অবস্থান হারাচ্ছে। সবাই এটি দেখছে, এমনকি বিশ্ব অর্থনীতির প্রবণতা বিচার করেও এটি বুঝতে পারছে।’
গুরুত্বপূর্ণ হলো, পুতিন তাঁর অভ্যন্তরীণ ও গ্লোবাল সাউথের শ্রোতাদের জন্য এটিও স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী ও তার অনুচরেরাই ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাজেডি এবং সাধারণভাবে মধ্যপ্রাচ্যে গণহত্যার পেছনে রয়েছে।’
ফিলিস্তিনি সমস্যার ন্যায্য সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি রেকর্ড দেখিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মান দেখায়নি।