ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কাতারের রাজধানী দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা হবে। শুক্রবার নেতানিয়াহুর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানুষের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দেওয়া নির্দেশের পরদিনই তিনি এই সম্মতি দিলেন।
তবে চলতি সপ্তাহে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পরও আজ পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার আলেপ্পোতেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় আজ বলেছে, গাজার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে দোহা ও কায়রোয় আলোচনা চলবে। আগামী দিনগুলোতে আলোচনার দিকনির্দেশনাসহ বিষয়টি সামনে এগিয়ে নেওয়া হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পর থেকে কয়েক দিন ধরে ওই আলোচনা থমকে রয়েছে।
নেতানিয়াহুর দপ্তর আরও জানিয়েছে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়ার সঙ্গে নতুন আলোচনা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে বার্নেয়া নিজে দোহা অথবা কায়রোতে যাবেন কিনা সেটি স্পষ্ট করেনি তারা।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারান।
এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।
৭ অক্টোবর ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি আরও ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসেন হামাসের যোদ্ধারা। যারমধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতিতে ছেড়ে দেয় তারা।
ইসরায়েলের বিশ্বাস হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জিম্মি রয়েছে। যারমধ্যে ৩৩ জন ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।