ঝড়ের কারণে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ ফিলিপাইনে অন্তত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহুসংখ্যক। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ঝড় ‘নালগায়ের’ আঘাতে মাগিন্দানাও দ্বীপের মাগুইন্দানাও প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কোটাবাতো শহরের আশেপাশে ব্যাপক বন্যা হয়েছে।
মাগিন্দানাও প্রদেশটি ফিলিপাইনের যে প্রশাসনিক অঞ্চলের অধীন, সেই ব্যাংসামোরো স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলের স্থানীয় সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগিব সিনারিমবো বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে তিন লাখ বাসিন্দার শহর কোতাবাতো পানিবন্দি হয়ে পড়ে; এর আশপাশের গ্রামীণ জনপদগুলোতে হড়কা বানের সৃষ্টি হয়। এতে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে উপড়ে যাওয়া গাছ, পাথর ও কাদার স্রোত নেমে আসে।
দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র বার্নার্দো রাফায়েলিটো আলেসান্দ্রো ডিজেডএমএম রেডিও স্টেশনকে বলেছেন, মাগুইন্দানাও প্রদেশ এই ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; সেখানে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, সুলতান কুদারাতে দুজনের প্রাণ গেছে। আরো দুজন সাউথ কোতাবাতো এলাকায় মারা গেছে এবং অন্যরা ফিলিপাইনের ভিসায়াস অঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, ৩৩ জন আহত হয়েছে এবং ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।
ফিলিপাইনের ঊর্ধ্বতন একজন সরকারি কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার জানিয়েছিলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় মাগিন্দানাও প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধসের পর পুরু কাদা থেকে উদ্ধারকারীরা অনেক মৃতদেহ বের করছে। ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার।
দেশটির কোস্টগার্ড দ্বীপপুঞ্জের বেশিরভাগ অংশে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করেছে এবং অনেক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিচ্ছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং সপ্তাহের শেষের দিকে ঝড় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। ঝড়ের কারণে স্কুল এবং বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।