বাড়াতে হবে শরীরী আবেদন। খোলামেলা পোশাকে উঁকিঝুঁকি দেবে উপচে পড়া যৌবন। চোখ টানবেই। হলিউডের দেখাদেখি তাই কবেই প্লাস্টিক সার্জারির পথে হেঁটেছে বলিউড। অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি, প্রাণের আশঙ্কা থোড়াই কেয়ার! স্তনের সৌন্দর্য বাড়াতেই হবে, তাতেই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি— এমনটাই মনে করেন টিনসেলনগরীর বহু নায়িকা।
১৫ বছর বয়সে বক্ষ প্রতিস্থাপন করে স্তনের আকার বাড়িয়েছিলেন রাখি সবন্ত। তাঁর ধারণা হয়েছিল, এতেই তিনি ‘কোল্ড’ থেকে নিমেষে ‘হট গার্ল’ হয়ে উঠবেন।
স্তনের এই অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন বলিউড-কাঁপানো বঙ্গতনয়া বিপাশা বসুও। এমনিতেই সুন্দরী, তবু আরও অনেকটা বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিলেন যৌন আবেদন।
বরাবরই ছিপছিপে চেহারা এবং ফিটনেসে জোর দেন শিল্পা শেট্টি। নিজে যোগাসন বিশেষজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও স্তনে প্লাস্টিক সার্জারির শরণাপন্ন হয়েছিলেন ।
বাদ যাননি বলিউডের ‘কুইন’ কঙ্গনা রানাউতও। প্লাস্টিক সার্জারিতে স্তনের আকার বাড়িয়ে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চেষ্টায় কার্পণ্য করেননি তিনিও।
স্তনের গড়ন এবং আকার নিয়েও রয়েছে পছন্দের হেরফের। চোখে পড়ার মতো বড় মাপের স্তন প্রতিস্থাপন করেছিলেন আয়েশা টাকিয়া। তবে অসহ্য কোমরের ব্যথায় আবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজের স্বাভাবিক স্তন ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হন অভিনেত্রী।
‘মার্ডার’-এর নায়িকা মল্লিকা শেরওয়াত যৌনতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন বক্ষ প্রতিস্থাপনের পরেই। শুরুর দিকে কিছু ছবিতে নজর কাড়লেও অভিনয়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন পরবর্তী কালে।
পুনম পাণ্ডেও এই দলেই পড়েন। স্তনে সিলিকন প্রতিস্থাপনের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও তাঁর পুরনো আর নতুন ছবি পাশাপাশি রাখলেই তফাত বোঝা যাবে।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবী কপূরও নাকি কিম কার্দাশিয়ান হয়ে উঠতে চাইছেন। ‘নকলনবিশি’ বলে তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের একাংশের দাবি— বক্ষ প্রতিস্থাপন করেছেন ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’।