‘মিসেস কাবায়েভা’ নামে খ্যাত আলিনা রাশিয়ার যেন এক রহস্যময়ী নারী। ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন এ নারী। অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তখনই পুতিনের সঙ্গে তার পরিচয়। সেই সময়েই সুন্দরী জিমন্যাস্টের প্রেমে পড়েন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
প্রেমিকা আলিনা কাবায়েভাকে ব্যয়বহুল বৃহত্তম অ্যাপার্টমেন্ট কিনে দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন এমনটি দাবি করেছে দ্য টেলিগ্রাফ রাশিয়ান অনুসন্ধানী নিউজ পোর্টাল দ্য প্রজেক্টর।
সাম্প্রতিক তদন্তে এমনটিই দাবি করেছে রাশিয়ার বিরোধী পক্ষ। শুধু তাই নয়, তাদের রিপোর্টে দাবি করা হয়, রাশিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামে প্রেমিকাকে একটি বিশাল কাঠের প্রাসাদ কিনে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার ব্যানড এক বিরোধী ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করা হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, পুতিন (৭০ বছর) তার ৩৯ বছরের প্রেমিকা আলিনা কাবায়েভার জন্য সম্পত্তি উপহার দেওয়ায় কোনো কমতি রাখেননি। আর তার জন্য রাশিয়ার সরকারের কোটি কোটি টাকার তহবিল ক্ষতি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
আজ এত বছর পরও রাশিয়ার জনগণ আলিনাকে দেশের ‘মুকুটহীন রানি’ বলে মনে করেন। অনেকের ধারণা— পুতিনের সঙ্গে থেকে তিন সন্তানের জননীও হয়েছেন আলিনা।
ফ্ল্যাট বললে ভুল হবে। এমনই বড় স্থাপনা, যা বসতবাড়িকেও হার মানাবে। পুতিন আলিনাকে যে পেন্ট হাউস কিনে দিয়েছেন, তা প্রায় ২৮ হাজার স্কোয়ার ফিটের (সাধারণ ফ্ল্যাট এক হাজার স্কোয়ার ফিট)। কৃষ্ণসাগরের তীরে রাশিয়ান রিসোর্ট শহর সোচিতে অবস্থিত।
গোপন তদন্তকারীদের দাবি— পেন্ট হাউসটি পুতিনের বন্ধু ওলেগ রুডনভের নামে কেনা হয়েছে। তাতে ২০টি ঘর, একটি প্রাইভেট সিনেমা হল, একটি সুইমিংপুল, ছাদে হেলিপ্যাড, স্পা এবং জাপানি কায়দায় সাজানো একটি সুন্দর সাজানো বাগান আছে।
মিসেস কাবায়েভার আত্মীয়দের নামে রও বেশ কিছু সম্পত্তি আছে। তার ঠাকুমার নামে মস্কোয় একটি অভিজাত এলাকায় তিনতলা বাংলো ও একটি বিশাল পেন্টহাউস রয়েছে।
প্রজেক্ট রিপোর্ট অনুসারে, পুতিন এক প্রত্যন্ত গ্রামে মিসেস কাবায়েভার জন্য একটি কাঠের প্রাসাদও বানিয়েছেন। সেখানেই নাকি প্রিয়তমার সঙ্গে সময় কাটাতে যান পুতিন। সঙ্গে থাকেন সন্তানরাও। প্রাসাদ লাগোয়া একটি গো-কার্ট ট্র্যাক ছোট আকারের গাড়ির রেসিং) রয়েছে। তা ছাড়া একটি খেলার মাঠও রয়েছে।