প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ
বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন অনেক দূর
আজ দিনটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। তাঁরই সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে আমরা আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছি।
শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশে রাজনীতি, গণতন্ত্র, অর্থনীতি তথা উন্নয়নের পুর্নজন্ম ঘটতো না। শেখ হাসিনারও পুর্নজন্ম ঘটেছে এ দেশে। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বাবা-মা-তিনভাইসহ নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে হয়তো তাঁকেও হত্যা করা হতো কিন্তু জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
জাতীয় জাগরণ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বাংলাদেশের পুনর্জন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিন এটি। কেননা ছয় বছর বিদেশে অবস্থান করে এইদিন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর রক্তক্ষরণের দুঃসহ যন্ত্রণা মাথায় নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন না করলে দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাস অন্যভাবে প্রবাহিত হতো। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশ হয়েছে আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত গণতন্ত্র, আবার উন্নয়ন গণতন্ত্রেরও অন্যতম প্রভাবক। এ নিয়ে জ্ঞানবিশ্বে বিতর্ক শুরু হয় ১৭ শতকের দিকে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অল্প সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটায়। শুধু উন্নয়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র অর্জন করা যায় না, অথবা শুধু গণতন্ত্র উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন আন্তঃসম্পর্কিত বিষয়টি বেশিরভাগ গবেষণায় প্রমাণিত। শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক শাসন পরিচালনা করে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে কাল তার যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা রয়েছে। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তার জন্মদিন উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচিতে উদযাপন করবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
আওয়ামী লীগ ঘোষিত দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন কাল বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। এদিন ঢাকাসহ সারা দেশে সব সহযোগী সংগঠন আলোচনাসভা, আনন্দ র্যালি, শোভাযাত্রা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ দিবসটির তাৎপর্য অনুযায়ী বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি পালন করবে। এসব কর্মসূচি পালনে সহযোগী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংস্থাগুলোর সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।