লিজ ট্রাসের আকস্মিক পদত্যাগের পর যুক্তরাজ্যের প্রধামন্ত্রী হিসেবে ফের ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন তারই পূর্বসূরী বরিস জনসন। এরই মধ্যে তিনি নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাককে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে ঋষি সুনাককে হারিয়ে বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন লিজ ট্রাস। সুনাক একজন সাবেক সাবেক অর্থমন্ত্রী। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পার্টির নেতাকর্মীদের অন্যতম পছন্দ তাকেই।
তবে বরিস জনসনের সমর্থনে কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যদের একটা বড় অংশ বলছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের হাত থেকে দলকে একমাত্র বরিসই রক্ষা করতে পারেন।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে আসতেই ঋষি সুনাককে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন বরিস জনসন। সম্প্রতি দুইজনের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল, তা মিটমাট করে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন- এমনটাও দাবি করেছেন বরিস।
মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবং কর কমানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর বাধ্য হয়ে লিজ ট্রাস পদত্যাগ করেন, ব্রিটিশ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী তিনি। সুস্পষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক এবং বরিস জনসন ছাড়াও, হাউস অফ কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টও পঞ্চমুখী লড়াইয়ে নাম লিখেয়েছেন। যদিও তারা দুজনেই এখন পিছিয়ে গেছেন। বেন ওয়ালেস জনসনকে সমর্থন করতে পারেন।
আগামী সপ্তাহে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই জানা যাবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।