নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে ‘বিএনপি কোনো ছাড় দেবে না’ বলে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যকে দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধনমন্ত্রীর ওই বক্তব্য দিয়ে বোঝা যায় যে, এদেশের প্রতি, এই মানুষের প্রতি তার যে কোনো দায়িত্ব নেই, তার যে সন্মান নেই, একটা সত্যিকার অর্থে কার্যকর রাষ্ট্র করার চিন্তা তার নেই।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং সংলাপ নাকচ হওয়ায় আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে কি-না জানতে চাইলে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব দলের অবস্থান জানান দেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে তারা সংলাপ নাকচ করে দিয়েছেন। এতে আগামী নির্বাচন শুধু অনিশ্চিত নয়, আগামী নির্বাচনে যদি আরও খারাপ কিছু ঘটে তাহলে এর জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী হবে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আর ছাড় দেবে না, এদেশের মানুষের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন বিশাল মানুষের কন্যা শেখ হাসিনা। এটা তো সত্য কথা যে, শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের নিঃসন্দেহে ওয়ান অব দ্য গ্রেটেস্ট সান। অথচ তার মেয়ে গোটা জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানও বাকশাল তৈরি করেছিলেন। আসলে এটা আওয়ামী লীগের রসায়ন। ওরা লুট করবে, ওরা ভোগ করবে আর সাধারণ মানুষকে পায়ের তলে পিষে মারবে।’
সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সত্যের অপলাপ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে সংলাপের ফল কি? আমাদেরও প্রশ্ন ওয়াট ওয়াজ দ্য রেজাল্ট। প্রধানমন্ত্রী তিনি যেভাবে আসুক তিনি আমাদের সকলের সামনে মিটিংয়ে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। পুলিশ আর গ্রেফতার করবে না, পুলিশ কোনো মামলা দেবে না, কাউকে গ্রেফতার করা হবে নির্বাচন পর্যন্ত। তার বক্তব্যের তিনদিন পর থেকে সারাদেশে পুলিশি নির্যাতনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের তারা সব পালিয়ে গেছে। ঘরে থাকতে পারেনি, রাস্তায়ও থাকতে পারেনি। আমি বিএনপির মহাসচিব আমি আমার এলাকায় প্রথম গিয়ে ঢুকেছি। আমি যে এলাকায় গেছি সেখানে আমার গাড়ির উপরে আক্রমন হয়েছে, আমার কনভয়ের উপরে আক্রমন হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরে কি করে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন তিনি সরকারে থাকবেন আর দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করবে। একা বিএনপি তো নয়, আজকে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো কেনো বলছে যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।