The news is by your side.

প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর: জনসভা, জনসমুদ্রে পরিণত করার প্রস্তুতি

0 175

 

কক্সবাজার অফিস

আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে আসছেন। জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জনসভায় তিনি ভাষণ দেবেন।

এই সফরকে ঘিরে কক্সবাজারে চলছে এখন সাজসাজ রব। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে শেখ কামাল স্টেডিয়ামসহ কক্সবাজার শহরের অলিগলি নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে শেষ হতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কের কাজ।

৭ ডিসেম্বর ২ টায় অনুষ্ঠিত হবে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এই জনসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ইনানীতে আন্তর্জাতিক নৌ শক্তি মহড়া উদ্বোধন শেষে যোগ দেবেন জনসভায়। এই জনসভাকে সফল করতে লাখো মানুষের জনসমুদ্রে পরিণত করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যে প্রায় জনসভার স্থল ও মঞ্চ তৈরির কার্যক্রম শেষ।

জনসভাকে সফল ও স্বার্থক করতে কক্সবাজারের সকল উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার পৌরসভার ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে গেল ১ ডিসেম্বর এক মতবিনিময় সভা শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে সারা বাংলাদেশ অন্ধকারে ছিল। সে সময় খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, নিজামী, মুজাহিদ জোট সরকার দেশকে জঙ্গিবাদের গহ্বরে ডুবিয়ে দিয়েছিল।

তারেক রহমান মুছলেখা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এখনও সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে বিদেশে পালিয়ে রয়েছে।

আবু সাইদ আল মাহামুদ স্বপন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের পাশাপাশি কক্সবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি দেশের অন্য এলাকার চাইতে কক্সবাজারে বেশি মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, মেরিন ড্রাইভ, গভীর সমুদ্র বন্দর, সাব মেরিনের মাধ্যমে কুতুরদিয়ায় বিদ্যুৎ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, সাবরাং এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন, মহেশখালী এল.এম.জি টার্মিনালসহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিশেষ মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন—৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারবাসী তার প্রতিফলন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য জনসভাস্থলে উপস্থিত হবেন।

এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র উন্নয়ন নয় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করে দেশ ও জাতির ভাগ্যে উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সকল ধর্মের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কওমী মাদরাসার সনদকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। তিনি দেশের ইসলামের প্রসার ও ইসলামের গবেষণার জন্য একই ডিজাইনের ৫৯০টি মসজিদ নির্মাণ করে যাচ্ছেন। সভায় বক্তব্য রাখেন—আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ এমপি, আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি, শহর ও উপজেলা সভাপতিবৃন্দ।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম বলেন, জনসভাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা ইতোমধ্যে স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন। সমাবেশস্থল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরাও কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। কয়েক লাখ মানুষের অবস্থান নিশ্চিত করতে কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামের পশ্চিম একাংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে ইতোমধ্যে প্রচারণামূলক নানা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে কক্সবাজারকে দুহাত ভরে দিয়েছেন। কক্সবাজার এখন চকচক করে। আরও উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেলে অপূর্ণতা কিছু থাকবে না। তিনি আরও বলেন, জনসভায় কক্সবাজারবাসীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হবে। জেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত কার্ড পৌাঁছানো হবে।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরন করার জন্য কক্সবাজারের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা আগামী নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের সাফল্য বয়ে আনবে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ব্যাপক খুশি হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা এখন থেকে প্রস্ততি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিতে। আশা করছি ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত সকল নেতাকর্মীরা দলে দলে জনসভায় যোগ দেবেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরন করতে ছাত্রলীগের এক লাখ কর্মী থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি। সেই দিন হবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নগরী।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.