প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৫৩১ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৭৮ রানে। তাতে ৩৫৩ রানের লিড পেয়েছে লংকানরা। এ নিয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে দুই শর আগে অলআউট হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে ফলো-অন করানোর সুযোগ থাকলেও সেটা না করে আবার ব্যাটিং করবে কুশল মেন্ডিসরা।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে জাকির হাসান বেশ সাবলীল ব্যাট করছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ঘণ্টায় এসে আবার এলোমেলো বাংলাদেশ। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে বাংলাদেশ।
সেই চাপ আরো বাড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ফিরে গেছেন এই অলরাউন্ডার। আসিথা ফার্নান্দোর বলে এলবিডাব্লিউএর ফাঁদে পড়েন সাকিব। রিভিউ নিয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি।
২৩ বলে ১৫ রানে ফিরেছেন সাকিব। একই ওভারে লিটন দাসকেও ফিরিয়েছেন আসিথা। দ্বিতীয় বলে চার মারলেও পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন লিটন।
আগের দিন অপরাজিত থাকা তাইজুল ইসলাম ও জাকির হাসান ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন এদিন। ফিফটি তুলে নেন জাকির।
কিন্তু দলীয় এক শ রানের আগেই ১০৪ বলে ৫৪ রানে ফিরে যান এই বাঁহাতি ব্যাটার। ভিশ্ব ফার্নান্দোর দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। প্রাবাথ জায়াসুরিয়ার বল ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১১ বলে করেন স্রেফ এক রান। প্রথম সেশনেই তাইজুলকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পাঁচ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে যায়। ৬১ বলে ২২ রানে ফেরেন তাইজুল। বোল্ড হন ভিশ্ব ফার্নান্দোর বলে।
এরপর সাকিব-লিটনের বিদায়ের পর শাহাদাত হোসেন দিপু টিকতে পারেননি। লাহিরু কুমারার বলে কামিন্দু মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে দিপু ফেরেন আট রানে। মেহেদি হাসান মিরাজও ফেরেন স্রেফ সাত রান করে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালান মমিনুল হক। ৮৪ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। লংকানদের হয়ে চার উইকেট শিকার আসিথা ফার্নান্দোর। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ভিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারা ও প্রাবাথ জায়াসুরিয়া।