The news is by your side.

প্রকাশ্যে শত্রুতা চায় না চীন যুক্তরাষ্ট্র : ব্লিকেন

0 95

প্রকাশ্যে শত্রুতায় জড়াতে রাজি নয় বিশ্বের দুইপরাশক্তি  শক্তি চেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘স্থিতিশীল’ করতে একমত দুই দেশ, এ বিষয়ে ‘অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে এক সফরেই সব সমস্যার সমাধান হবে না বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জিনপিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চায় না এই দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব হোক। একইসঙ্গে চীনের বৈধ অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ না করারও আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে অনুষ্ঠিত জিনপিং ও ব্লিংকেনের এই বৈঠক একটি সংকেত দিয়েছে। আপাতত এই দুই দেশ চায় না তাদের সম্পর্ক প্রকাশ্য শত্রুতায় রূপ পাক। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বড় রকম ঝুঁকি রয়েছে বলেও স্বীকার করেছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং।

ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্রের সহায়তা দেবে না বলে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করেছে চীন। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে এমন কোনো অস্ত্র বা প্রযুক্তি যাতে চীনা কোনো প্রতিষ্ঠান মস্কোকে না দেয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে ব্লিংকেন জিনপিংকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীনের সঙ্গে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে, চীনের স্বার্থে এবং বিশ্বের স্বার্থে।’

অন্যদিকে, সূচনা বক্তব্যে জিনপিং চীনের অভিযোগের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রের মিথস্ক্রিয়া সব সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। আমি আশা করি, এই সফরের মাধ্যমে আপনি চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে আরও ইতিবাচক অবদান রাখবেন। চীন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সম্মান করে। যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ বা স্থানচ্যুতও করতে চায় না। ঠিক একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেও চীনকে সম্মান করতে হবে এবং চীনের বৈধ অধিকার ও স্বার্থে আঘাত করা উচিত নয়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.