মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত তালিকাটি রাজাকারদের নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, এটি দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকা।
বুধবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত আলোচিত রাজাকারের তালিকা প্রকৃতপক্ষে কোনও রাজাকার, আলবদর বা আল শামসের তালিকা নয়। এটা ছিলো ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে দালাল আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের তালিকা।
তিনি বলেন, এই তালিকা থেকে ৯৯৬ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছিলো। অথচ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় পুরো তালিকাটাই রাজাকারের তালিকা হিসেবে প্রকাশ করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে তালিকাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গত রোববার রাজাকারের তালিকা বলে ১০ হাজার ৭৮৯ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তালিকা প্রকাশ করেন। তবে ওই তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতাদের নামও রয়েছে। এমনকি খোদ আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামও রাজাকারের তালিকায় আসে। তালিকাটি প্রকাশ হওয়ার পরই দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
রাজাকারের তালিকা নিয়ে এরই মধ্যে ভিন্নভিন্ন বক্তব্য এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজ, বিএনপিসহ নানা রাজনৈতিক দলও এ নিয়ে মন্তব্য করেছে।
প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম চলে আসায় দুঃখ প্রকাশ করে মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভুলের পরিমাণ বেশি হলে তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। আর ভুলভ্রান্তির পরিমাণ কম হলে ভুলবশত যাদের নাম তালিকায় এসেছে, সে নামগুলো প্রত্যাহার করা হবে।