ঢাকা মহানগরীতে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর আগারগাঁও ও মিরপুর-১০ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে চালকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের জেরে মিরপুর গোল চত্বরে তিনটি বাস ভাঙচুর করেন অটোরিকশা চালকরা।
রোববার (১৯ মে) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন চালকরা। বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় আসেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা। তিনি আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে চালকদের একটি অংশ আন্দোলন শেষ করে ফিরতে সম্মত হয়।
তবে শেওড়াপাড়া থেকে আসা শ্রমিকদের একাংশ লাঠি হাতে হই-হুল্লোড় করে এসে আবারও অবরোধ শুরু করে। এ সময় পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শেওড়াপাড়া দিয়ে মিরপুরের দিকে আসা অটোরিকশা চালকদের একটি অংশ ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে এবং লাঠি নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশও পাল্টা ধাওয়া দেয়। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে থেমে থেমে যান চলাচল শুরু করে।
কালশীতেও সড়কে আগুন
অটোরিকশা চালকরা মিরপুরের কালশীতেও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে সড়কের উভয় পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, পুলিশের বাধার মুখে ও ধাওয়ায় মিরপুর-১০ এলাকা থেকে অটোচালকরা সরে কালশীতে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সড়কে আগুন দেয়। তাদের বাধায় কালশীতে যান চলাজলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
গত ১৫ মে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেয়ার নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।