স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত শক্ত, প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বিট পুলিশ রয়েছে। খবর শোনার পর স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি ড্রেস না পরেই সেখানে (ঢাকার শাহীনবাগের একটি বাসা) দৌড়ে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওখানে যাবেন, তা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো উচিত ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও জানি না।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস শাহীনবাগে নিখোঁজ এক বিএনপি নেতার বোনের বাসায় যান। ওই বাসায় ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা মাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি থাকেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের শাহীনবাগে যাওয়ার তথ্য কীভাবে ফাঁস হলো আমরা জানি না। তার অফিস থেকেও ফাঁস হতে পারে। সেখানে কীভাবে খবর পেয়ে কিছু লোক জিয়াউর রহমানের আমলে কিছু লোককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা ও ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ে জানাতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার অপরাধ ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাইরে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেখানে কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা নজরদারিতে আনা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা অনেক আগে থেকেই তা লক্ষ্য করে আসছি। সেটাকে নিরুৎসাহিত করতে আমরা একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা শিগগিরই একটা সমাধান বের করবেন।