ফরাসি লিগে পিএসজি’র ‘উত্থান’ আর মার্সেই-এর ‘পতন’ যেন একসঙ্গে লেখা। দশটি লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে মার্সেই। অথচ ১৯৯১ ও ১৯৯২ এর পর ২০০৯ সাল; এরপরে লিগ শিরোপা ঘরে তোলা হয়নি তাদের। একমাত্র ফরাসি ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে তারা।
পিএসজি ১৯৮৫ সালে প্রথম ও ১৯৯৩ সালে জেতে দ্বিতীয় লিগ শিরোপা। সর্বশেষ আসরেরও লিগ চ্যাম্পিয়ন তারা। শিরোপা জিততে পারুক বা না পারুক কাতারের অর্থে ফুলে-ফেঁপে ওঠা পিএসজির সঙ্গে তাই দৌরাত্ম্য আছে মার্সেই-এর। মাঠে দু’দলের মধ্যে তুমুল লড়াই জমার ঘটনা নিকট অতীতেও দেখা গেছে।
এমনকি দুই পক্ষের দর্শকদের গ্যালারিতে মারামারি লাগিয়ে দেওয়া, মাঠে পিএসজি খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে বোতল ছুড়ে মারা এবং গ্যালারিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার রাতে মার্সেই-এর মাঠে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। বরং কাপ দে ফ্রান্সের শেষ ষোলোর ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই হয়েছে।
সেখানে একের পর এক আক্রমণ তুলে মার্সেই ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে লিওনেল মেসি-নেইমার জুনিয়রের পিএসজিকে। কিলিয়ান এমবাপ্পেহীন দলকে বিদায় করে ফরাসি লিগের এক সময়ের প্রভাবশালী মার্সেই উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে অ্যালেক্সিস সানচেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সের্গিও রামোস গোল করে দলকে স্বস্তির সমতা এনে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে মিলিনোস্কি গোল করে মার্সেইকে আবার লিডে তোলেন। যে গোল মেসি-নেইমাররা শোধ করতে পারেননি।
এমনকি ঘরের মাঠে পুরো ম্যাচে পিএসজির চেয়ে ভালো খেলেছে মার্সেই। ৪৪ শতাংশ বল পায়ে রাখলেও ইগর টুডোর দল গোল হওয়ার মতো আটটি ভালো শট নিয়েছিল। অন্যদিকে পিএসজি গোলে কেবল তিনটি শট নিতে পেরেছিল। ব্যর্থ আক্রমণেও এগিয়ে ছিল মার্সেই।