এক ব্রহ্মাণ্ড যেখানে বলিউডের বিপরীত মেরুও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বক্স অফিসের স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ায়। যেখানে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ নেই। যেখানে নায়ক সুপারহিরো। অপরাজেয়। ছুরি, কাঁচি, বন্দুক, মিসাইল, কিচ্ছুতে তার চুলও ব্যাঁকাতে পারবে না। সে নিজের কাজ ঠিক মতো করে দেশকে বাঁচাবেই।
আর নায়িকা? বিকিনি আর হিল পরেই অবলীলায় দুষ্টের দমন করবে। গুলি খেয়েও মেকআপ আর হেয়ার থাকবে টিপটপ!
‘পাঠান’ সেই ব্রহ্মাণ্ডের ছবি। আদ্যোপান্ত অ্যাকশন। গল্প-ইমোশন-প্রেম সবই অলঙ্কার মাত্র। স্পাই ফিল্ম, একগুচ্ছ বিদেশের লোকেশন, রয়েছে ‘ফাম ফাতাল’-এর মতো কুহকিনী গোছের নায়িকাও। কিন্তু বন্ড ছবি হতে হতেও যেন হল না। তাতে চিত্রনাট্যের দুর্বলতা ছাড়াও দায়ী আরও অনেক কারণ। যার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই সেন্সর বোর্ডের ছুরি-কাঁচি চালানো।
ছবিতে ১০টিরও বেশি অংশ বাদ পড়েছে। তার বেশির ভাগই অবশ্য সংলাপ। কিছু গালিগালাজ বাদ দেওয়া হয়েছে। তাতে ছবি ‘ইউএ’ সংশাপত্র পেল বটে, কিন্তু ছবির স্বাদ ফিকে হল না কি? আন্তর্জাতিক মানের গুপ্তচর যখন তার আর্চএনিমির মুখোমুখি হয়, তখন তারা কি এত মার্জিত ভাবে কথা বলে? কে জানে? বন্ডের দর্শক খুব একটা অভ্যস্ত নন।
বাদ পড়া সংলাপ হয়তো ছবির গল্পে আরও খানিকটা বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দিতে পারত। কিংবা হয়তো ছবিতে আরও বেশি হিউমার যোগ করতে পারত। দু’বছর ধরে করোনাকালে ওটিটি-তে দর্শক যখন এ সবে অভ্যস্ত হয়েই পড়েছেন, তখন বড় পর্দায় আর এ সব ভনিতা কেন! ‘পাঠান’-এর স্বাদ ফিকে করা কেন?