বিতর্কের জেরে পিছু হটল পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন (এইচইসি)। দেশটির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হোলি খেলা নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
গত ২০ জুন পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হোলি খেলা নিষিদ্ধ। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়। দেশটির কয়েক জন নেতাও আপত্তি জানান। তার পরই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হলো।
বৃহস্পতিবার উচ্চ শিক্ষা কমিশনের এক্সিটিভ ডিরেক্টর শায়েস্তা সোহেল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন ধর্মীয় বিশ্বাস, উৎসব এবং সব ধর্মকে সম্মান করে। আমরা এটা স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে, কারও ভাবাবেগে আঘাত করা হবে না। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হোলি খেলা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না।’
সম্প্রতি ইসলামাবাদের কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের হোলি খেলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিকমাধ্যমে। ‘মেহরান স্টুডেন্টস কাউন্সিল’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল।
‘পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় হোলি উদ্যাপন’ বলে প্রচারও করেছিল। অনেকেই মন্তব্য করেন, ‘এই বহুত্ববাদী সংস্কৃতিই কায়েদ-ই-আজম চেয়েছিলেন। বিভাজন-জর্জরিত সময়ে এই রকম দৃষ্টান্তই তুলে ধরা উচিত। অবশেষে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।’ তার পরই হোলি খেলা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে।