The news is by your side.

পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে ইমরানকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

0 139

 

১৯৭১ সালের পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে ইমরান খানকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেছেন, এ ইস্যুতে বেশিদূর কথাবার্তা চললে দেশের রাজনীতিতে উদ্বেগ উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।

কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া খান না কি শেখ মুজিবুর রহমান তা জানার জন্য প্রত্যেক পাকিস্তানির উচিত হামুদ উর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি পড়া।’

১৯৭১ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান খোয়ানোর পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার। এই কমিশনের মূল দায়িত্ব ছিল, কেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব সৃষ্টি হলো এবং এই যুদ্ধ হলো তার কারণ অনুসন্ধান করা।

হামুদ উর রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে আজ পর্যন্ত সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

খাজা আসিফ বলেন, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান আবারও ৯ মে’র মতো পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে করা টুইটটি প্রত্যাহারের চেষ্টা চলছে। ব্যারিস্টার গওহর খান (পিটিআই চেয়ারম্যান) জানিয়েছেন টুইটটি করার আগে সোশ্যাল মিডিয়া টিম অনুমতি চায়নি।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের ইতিহাস ও পূর্ব পাকিস্তানের ট্র্যাজেডি নিয়ে তার ভিন্ন একটি অবস্থান রয়েছে। ইমরান ও তার দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ট্র্যাজেডি অতিরঞ্জিত করে আপনারা উত্তেজনা বাড়াতে চান।

খাজা আসিফ বলেন, রাজনীতি হোক বা খেলাধুলা, যারাই তার সঙ্গে ভালো করেছেন, তাদের প্রত্যেককেই তিনি দংশন করেছেন।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্টের জন্য ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম টিম বৃহস্পতিবার ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্ত এগিয়ে নিতে সংস্থাটি ওইদিন রাতেই আদিয়ালা কারাগারে পৌঁছায় তবে ইমরান তাদের দেখা দেননি।

আদিয়ালা কারাগার সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে এফআইএ’র তদন্তের অংশ হতে অস্বীকার করেন। তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। বলেছেন, আইনজীবীদের উপস্থিতিতেই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।

অন্যদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেছেন, এই পোস্টের সঙ্গে ইমরানের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তিনি তার অ্যাকাউন্টে আপলোড করা পোস্টগুলো দেখেননি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.