The news is by your side.

পাকিস্তান ছেড়ে ভারতের নাগরিকত্ব নেওয়ার কারন জানালেন আদনান সামি

0 105

পাকিস্তানের নাগরিকত্ব ছেড়ে ২০১৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি। এরপর ৬ বছর কেটে গেলেও এ বিষয়টি নিয়ে বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে, তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা কথা বলেননি তিনি।

সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সামি। ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম হিউমানস অব বোম্বকে সামি জানান, তিনি ভারতকে ভালোবাসেন, এটিই তাঁর বাড়ি, এ বিষয়টি অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। সামির ভাষ্যে, ‘আমি এখানে যতটা ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছি, একজন শিল্পী হিসেবে তা আমাকে অভিভূত করেছে।’

২০০১ সালের মার্চে এক বছরের ভিসায় ভারতে গিয়েছিলেন আদনান সামি, এরপর ভারতেই থেকে যান তিনি। বলিউডে নাম লিখিয়ে খ্যাতি পান, একের পর এক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দেন তিনি। ভারতের মানুষের ভালোবাসা তাঁকে সেখানে আটকে রেখেছে বলে জানান সামি, দেড় যুগের বেশি সময় ধরে নানা চড়াই–উতরাইয়ের পর ভারত সরকার তাঁকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়।

তবে তাঁর ভারতে থিতু হওয়ার বিষয়টি অনেকে ইতিবাচকভাবে নিতে পারেননি, পাকিস্তানের কেউ কেউ বলেছেন, তিনি অর্থের মোহে ভারতে রয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশে সামি বলেন, ‘আমার পারিবারিক বৃত্তান্ত সম্বন্ধে জানেন? আমার জীবনে অর্থ কোনো বিষয়ই নয়। আমি বিত্তশালী পরিবারে জন্ম নিয়েছি ও বেড়ে উঠেছি। পাকিস্তানে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বহু সম্পদ আমি রেখে এসেছি।’

ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়টিকে অনেকে সামনে আনছে বলে মনে করেন সামি। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক বৈরিতা রয়েছে, এটি রাজনৈতিক বিষয়। রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি একজন শিল্পী।’

ভারতের নাগরিকত্ব পেতে সামিকে ১৮ বছর লড়াই করতে হয়েছে, দুবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এর আগে ম্যাশবল ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি আমার আসল নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলাম, সেই সময় দেড় বছরের মতো আমি রাষ্ট্রহীন ছিলাম। পাসপোর্ট শুধুই কাগজমাত্র, কিন্তু আমি কোনো দেশেরই ছিলাম না। আমি কোথাও যেতে পারিনি।’

২০২১ সালে আদনান সামিকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দিয়েছে ভারত। জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যে হলেও তাঁর পৈতৃক নিবাস পাকিস্তানে। তাঁর বাবা আরশাদ সামি খান পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের পাইলট ছিলেন, মা নওরিন খান ছিলেন ভারতীয় নাগরিক।

আদনান সামির প্রথম স্ত্রী পাকিস্তানি অভিনেত্রী জেবা, তাঁদের সংসারে আজান নামের এক ছেলে রয়েছেন। বাবার মতো আজানও গান করেন, থাকেন পাকিস্তানে। দ্বিতীয় স্ত্রী সাবা গলাদারির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১০ সালে আফগান বংশোদ্ভূত জার্মান সুন্দরী রোয়া ফারেয়াবিকে বিয়ে করেন, রোয়াকে নিয়ে বর্তমানে ভারতেই বাস করছেন সামি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.