পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জিও নিউজ। এ ছাড়া পিটিআই মহাসচিব আসাদ উমরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পিটিআই দাবি করেছে যে তার সিনিয়র নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকে বৃহস্পতিবার ভোরে ইসলামাবাদ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে স্থানে রাখা হয়েছে।
টুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যে সাধারণ পোশাকধারী ব্যক্তিরা কুরেশিকে নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে তাকে আটক করা হয়েছিল, সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে দেখা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষা অধ্যাদেশ, ১৯৬০-এর ৩ নম্বর ধারায় কুরেশিকে ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কুরেশি ও উমরকে ইসলামাবাদে সচিবালয় থানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
বিক্ষোভ দমনে সারাদেশে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত পিটিআইয়ের এক হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়াতেও সেনা মোতায়েনের কথা ভাবা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ হুশিয়ারি দেয়। বিবৃতিতে এ সহিংসতাকে ‘কালো অধ্যায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলবার। এদিন তার গ্রেফতারের পর পরই প্রতিবাদে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও পেশোয়ারসহ সব বড় শহরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজপথে নেমে আসে খানের হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থক। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।