নয়াদিল্লি অফিস
কাঁটাতার টপকে গত কয়েক দিন আগে ভারতে এসেছেন পাকিস্তানের প্রায় একশো জন হিন্দু। এর আগে রাজস্থানে এসেছিলেন প্রায় ৮০০ জন পাকিস্তানি হিন্দু। পাকিস্তানে শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। সে কারণেই ভারতে এসে স্থায়ী ভাবে থাকতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু শেষমেশ ভারতীয় নাগরিকত্ব না মেলায় গত বছর তাঁদের বাধ্য হয়ে পাকিস্তানে ফিরে যেতে হয়েছে। ফলে নতুন করে যে পাকিস্তানি হিন্দুরা ভারতে এসে পাকাপাকি ভাবে থাকার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
১২ অক্টোবর নতুন করে পাকিস্তানি হিন্দুদের একটি দল ভারতে আসে। পরে আরও একটি দল আসে গত ১৪ অক্টোবর। অভিযোগ, নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাঁরা। জুটেছে বঞ্চনা। তাই পাকিস্তানে আর থাকতে চান না তাঁরা। ভারতের মাটিতেই পাকাপাকি ভাবে বসবাস করতে চান ওঁরা। সে কারণেই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে প্রায় ১০০ জন হিন্দু ভারতে এসেছেন। চলতি সপ্তাহেই তাঁরা রাজস্থানের জোধপুরে পৌঁছেছেন।
সম্প্রতি পাকিস্তানে বন্যা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে সে দেশের সরকারের তরফে। কিন্তু ত্রাণ বণ্টনে তাঁদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিন্ধু প্রদেশের ওই হিন্দুরা।
যে ১০০ জন সীমান্ত পার করে ভারতে এসে পৌঁছেছেন, তাঁরা ভিল সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের তান্দো আল্লাহয়ার জেলায় থাকতেন তাঁরা।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছেন ভিল সম্প্রদায়ের প্রায় ১০০ জন বাসিন্দা।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার কথা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন চতুরারাম ভিল নামে এক ব্যক্তি। স্ত্রী ও আট সন্তানকে নিয়ে তিনিও ভারতে এসেছেন।
চতুরারাম ভিল নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথমে হরিদ্বারে যান। সেখান থেকে তাঁরা জোধপুরে পৌঁছন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্থায়ী ভাবে থাকতে চাইছেন যোধপুরে। তবে চতুরারাম রাজস্থানের জয়সলমীরে গিয়েছেন।
বিষ্ণু নামে ওই দলের আরও এক ব্যক্তির কথায়, ‘‘আমাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। পাকিস্তান ত্যাগ করা ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প ছিল না।’’
পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দুদের নথি যাচাই করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। এএসপি (সিআইডি) রামেশ্বর লাল মেঘওয়াল বলেছেন, ‘‘সবটা আইনানুয়ায়ী করা হবে। যদি ওঁরা ফিরে যেতে না চান, তা হলে এখানে থাকার জন্য যা যা করণীয়, তা করতে বলা হবে।’’
রাজস্থানে আসা প্রায় ৮০০ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে কিন্তু ফিরে যেতে হয়েছে। ফলে এই ১০০ জনের কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।