The news is by your side.

পাকিস্তানে ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

0 459

 

 

ধর্ষণের ঘটনা কমাতে এ বার কঠোর হচ্ছে পাকিস্তানের আইন। রাসায়নিক প্রয়োগে ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ (‘কেমিক্যাল কাস্ট্রেশন’) অকেজো করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক মন্ত্রিসভা।

ধর্ষণের মামলাগুলিকে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে অপরাধীদের শাস্তি পেতে অযথা দেরি না হয়। তবে এ ব্যাপারে কোনও সরকারি ঘোষণা এখনও হয়নি।

পরে শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফের সেনেটর ফয়জল জাভেদ খান তাঁর টুইটে জানিয়েছেন, ধর্ষণ দমনে নতুন আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই পেশ করা হবে পাক পার্লামেন্টে।

এ সপ্তাহে ইসলামাবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয় পাক আইনমন্ত্রকের তরফে। ধর্ষণ দমনে একটি অর্ডিন্যান্স জারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তার একটি খসড়াও পেশ করা হয় বৈঠকে।

ওই খসড়ায় পাকিস্তানে মহিলাদের নিরাপত্তায় জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম পুলিশে আরও বেশি সংখ্যায় মহিলা কর্মী নিয়োগ, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ধর্ষণের মামলাগুলির বিচার এবং ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

জিও টেলিভিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৈঠকে বলেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে যেন কোনও বিলম্ব না হয়। নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

ইমরান জানিয়েছেন, নতুন আইনে কোনও অস্বচ্ছ্বতা থাকবে না। আইন কঠোর হবে। বিচার প্রক্রিয়াও হবে দ্রুততর। ধর্ষিতারা যাতে নির্ভয়ে ঘটনার অভিযোগ জানাতে পারেন পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে সে দিকেও নজর রাখা হবে। ধর্ষিতাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ধর্ষিতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।

পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, বৈঠকে কোনও কোনও মন্ত্রী ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ারও দাবি জানান। তার প্রেক্ষিতে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘রাসায়নিক প্রয়োগে ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়ার মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ শুরু হোক। তার পর ধাপে ধাপে এগোনো যাবে।’’

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.