The news is by your side.

পাকিস্তানের পরে ইজ়রায়েল, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করলেন!

0 106

পাকিস্তানের পর এ বার ইজ়রায়েলও চাইছে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছিল পাকিস্তান। নোবেল কমিটিকে সেই প্রস্তাবও জানিয়েছিল তারা। এ বার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজ সারেন ট্রাম্প। সেই সময়েই ট্রাম্পকে মনোনীত করার কথা ঘোষণা করেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহু বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন।” এ কথা বলেই টেবিলের উপর একটি কাগজ তুলে ধরেন তিনি। ট্রাম্পের উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, “নোবেল কমিটির কাছে আমার পাঠানো একটি চিঠি আপনাকে দেখাতে চাই। এটিতে আপনাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আপনি এর যোগ্য, এটি আপনার পাওয়া উচিত।”

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হচ্ছেন শুনে ট্রাম্পও ধন্যবাদ জানান নেতানিয়াহুকে। তিনি বলেন, “আমি এটা জানতামই না। বিশেষ করে আপনার কাছ থেকে এটি (মনোনয়ন) আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” এর পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি যুদ্ধ থামাচ্ছি। মানুষকে মরতে দেখতে আমি পছন্দ করি না।”

সম্প্রতি ইজ়রায়েল-ইরান সংঘর্ষে হস্তক্ষেপ করে আমেরিকা। ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলিকে নিশানা করে হামলা চালায় আমেরিকার সামরিক বাহিনী। দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতেও আমেরিকা মধ্যস্থতা করেছে বলে দাবি আমেরিকার। সম্প্রতি গাজ়া ভূখণ্ডে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘর্ষ থামাতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা। এ অবস্থায় ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নিজে ট্রাম্পের নাম মনোনীত করলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য।

ঘটনাচক্রে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি নিয়েও বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে ফোনে কথা হয় ট্রাম্পের। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছিলেন, মোদী ওই সময়েই ট্রাম্পকে জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি কারও মধ্যস্থতায় হয়নি। পাকিস্তানের দিক থেকে এসেছিল বিরতির প্রস্তাব। তাতে ভারত সম্মত হয়েছে।

ট্রাম্প প্রকাশ্যে দাবি করেন, ভারত এবং পাকিস্তান, দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত তিনি থামিয়েছেন। তিনিই মধ্যস্থতা করেছেন। পাকিস্তানও ট্রাম্পের দাবিকে সমর্থন করে এসেছে প্রথম থেকেই। ট্রাম্পের সেই ‘উদ্যোগের’ জন্য তাঁর নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করতে চায় ইসলামাবাদ। এ বার পাকিস্তানের পরে ইজ়রায়েলও চাইছে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ট্রাম্প।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.