চীন ও ভারতের মধ্যকার চলমান শীতল সম্পর্কের জট খুলতে দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সফরে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে নিরাপত্তাসহ বিশাল প্রস্তুতি নিলেও পাকিস্তানকে ৩০০টি অত্যাধুনিক ট্যাংক উপহার দিচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ইসলামাবাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে ৩০০টি ‘ভিটি-৪’ ট্যাংক তুলে দেবে বেইজিং। এ বিষয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়েও রাজি হয়েছে চীন। যার ফলে পাকিস্তানও এমন ট্যাংক বানাতে পারবে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের আলতে, দক্ষিণ কোরিয়ার কে-২, রাশিয়ার টি-৯০ ও চীনা ভিটি-৪ ট্যাঙ্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে ভারতের হাতে টি-৯০ রয়েছে এবং বাকীগুলির তুলনায় চীনা ট্যাঙ্ক অনেকটাই সস্তা। ফলে শেষমেশ ভিটি-৪ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।
গত কয়েকদিন আগেই চীনের গানসু প্রদেশে সামরিক মহড়া করেচে পাক সেনা ও লালফৌজ। চলতি বছরের আগস্টে জম্মু কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ চীন। ওই পদক্ষেপে উপত্যকাকে দুই ভাগ করে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীন করেছে নয়াদিল্লি। দুটি অঞ্চলের একটি লাদাখ যাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে বেইজিং।
কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথম থেকেই পাকিস্তানের পক্ষে নেয়াই চীনের ওপর অসন্তুষ্ট ভারত। ভারত সফরের দু’দিন আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জিনপিং।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে চীন জানায়, জিনপিং ‘জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখছেন। শুধু তাই নয়, এ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে এমন যে কোনো একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।’ এ বিবৃতির পরেই পাল্টা উত্তর দিয়ে নয়াদিল্লি বলেছে, অন্য কোনো দেশের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দেবে চীন। ফলে কূটনৈতিক স্তরে দিল্লি-বেইজিং আলাপ-আলোচনা হলেও ভারতকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।