ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল থেকে। চলমান ভোট যুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি ময়দান। শুক্রবার জনসভা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মালদহের সাহাপুরের নিত্যানন্দপুরের মাঠে।
প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে অসহ্য গরম উপেক্ষা করে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে জনসভায়। রোদের তীব্রতার মধ্যেও জড় হওয়া লাখ লাখ জনগণকে দেখে স্তম্ভিত হন মোদী।
সেখানে তিনি বলেন, আমার প্রতি আপনাদের উৎসাহ ও ভালোবাসা দেখে আমি আবেগ আপ্লুত। আপনারা এত ভালোবাসা দিচ্ছেন যে মনে হয়, আগের জন্মে আমি বাংলায় জন্মেছিলাম। পরের জন্মেও আমি বাংলার কোনো মায়ের কোলে জন্ম নেবো। নয়তো এত ভালোবাসা কখনো পেতাম না।
মোদি বলেন, এত লোক আজ সভায় এসেছেন যে এই মাঠে কুলাচ্ছে না। লোকজন রোদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমি ক্ষমা প্রার্থী। কিন্তু আপনাদের বলছি, আপনাদের এই কষ্ট আমি বেকার যেতে দেব না। আমি উন্নতি করে আপনাদের ভালবাসা ফিরিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, বাংলা রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গা। আমি বাংলাকে এইভাবে পিছিয়ে যেতে দেখতে পারবো না। তৃণমূলের মতো দুষ্টু দল থাকার পরও কেন্দ্রের সরকার বাংলার বিকাশের কাজ করে চলেছে। বিজেপি সরকারের প্রকল্পের জন্য আপনারা ফ্রি রেশন পাচ্ছেন।
তৃণমূল ও বাম দলকে এক হাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল বাংলা পুরো দেশের উন্নতিতে নেতৃত্ব দিত। সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি, দেশের বলিদানেও বাংলা নেতৃত্ব দিত। কিন্তু বাম-তৃণমূল তাদের শাসনকালে বাংলার সম্মান নষ্ট করেছে। উন্নতি বন্ধ করেছে। তৃণমূলের শাসনকালে একের পর এক প্রতারণা কাণ্ড, পাচার, দুর্নীতির কথা সামনে আসছে। দুর্নীতি তৃণমূল করে আর ভোগে বাংলা। একটাও কাজ এখানে কমিশন ছাড়া হয় না। এরা কৃষকদেরও ছাড়েনি। মান্ডিতে এক কুইন্টাল গম বেচতে গেলে বিচুলি খেয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন,বাংলার বেকার যুবকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে তৃনমূল কংগ্রেস। মা-মাটি-মানুষের কথা বলে নারীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে মমতা সরকার। সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিযোগ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে তার দল।
‘উন্নয়নের বদলে বাংলায় হাজার কোটি রুপির দুর্নীতি হয়েছে। বাংলায় কমিশন ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বাংলায় তৃণমূল পর্যায়ে যুব-উন্নয়নের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। বাংলায় উন্নয়নের বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছে মমতা ও তার দল।’