দেবলীনা কুমার রবীন্দ্র ভারতীয় অতিথি অধ্যাপক। সবটাই নাকি তাঁর বিধায়ক বাবা দেবাশিস কুমারের জন্য! তাঁর নাচের প্রতিষ্ঠান ‘লাই হারোবা’… সেটাও নাকি বাবার সৌজন্যে। এই যে ছোট পর্দা, বড় পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করেন? সবটাই দেবাশিস কুমারকে খুশি করতে। এমনকি, উত্তমকুমারের নাতবৌ বাবার দৌলতেই। এমনই গুঞ্জন টলিউডে। দেবলীনা নিজেও জানেন। অনেক বার প্রতিবাদ করেছেন। গুনগুন ফিসফাসে ভাটা পড়েনি।
বুধবার তিনি সপাট চড় কষালেন নিন্দুকদের গালে। দেবলীনা নিজের ক্ষমতায় সমস্ত অর্জন করেছেন তার হাতগরম প্রমাণ দিলেন। সামাজিক পাতায় একটি ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। আট বছর আগে তাঁর সেট পরীক্ষার ফলাফলের। পিএইচডি করবেন বলে অনলাইন পরীক্ষায় বসেছিলেন। তার স্ক্রিনশট তাঁর ফোনের অ্যালবামে ছিল। সেই ছবি দিয়ে তাঁর ধারালো জবাব, পিএইচডি-তে ভর্তি হতে গেলে এই পরীক্ষায় বসতে হয়। এবং এটি অনলাইন পরীক্ষা। তারপরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘অনলাইনটা বললাম যাতে আবার কিছু মানুষ না ভাবে যে আমার বাবা এটা করিয়ে দিয়েছে!’ বক্তব্যের পাশে হাসির ইমোজি।
দুটো পত্রে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল দেবলীনাকে। প্রথম পত্রে ইংরেজি এবং অঙ্ক। দ্বিতীয় পত্র ঐচ্ছিক। প্রথম পত্র বিজ্ঞান, কলা বা বাণিজ্য বিভাগের সব পড়ুয়াদের জন্যই আবশ্যিক ছিল। কেমন রেজাল্ট করেছিলেন? ছবি অনুযায়ী অভিনেত্রী প্রথম হয়েছিলেন। রেজাল্ট জানিয়ে ফের ব্যঙ্গের চাবুক। দেবলীনা লিখেছেন, ‘ইয়ে, এইগুলো মাঝেমধ্যে খুঁজে পেলে মনে হয়, অতটাও মূর্খ নই। পেটে একটু হলেও বিদ্যে আছে!’