দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ উইকেটের হতশাজনক পরাজয়ের পর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় পাকিস্তান টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরমেন্সে অদৃশ্য এক যাদুকরী প্রভাব সম্পর্কে পুরো দলকে সতর্ক করেছেন।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হারের মাধ্যমে ছয় ম্যাচে চতুর্থ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে বাবর আজমের দল। গ্রুপ পর্বের বাকি তিনটি ম্যাচে জিততে পারলে কিছুটা হলেও সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকে থাকবে তাদের।
আর্থার বলেন, ‘এই পরাজয়ের জন্য দলের সকলকেই দায়ী করা হচ্ছে। এটাই পৃথিবীর নিয়ম। তবে সত্যিকারার্থে বাবর (অধিনায়ক), ইনজামাম-উল-হক (প্রধান নির্বাচক), আমাদের কোচিং প্যানেল কিংবা পুরো দলীয় ব্যবস্থাপনার উপর এত বড় দায় চাপানোটা সত্যিই যুক্তিযুক্ত নয়। আমি জানি দলের সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে, নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে, কোচিং স্টাফরাও অনেক বেশী শ্রম দিয়েছে। খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছে। এভাবে তাদেরকে এক তরফা দায়ী করাটা ঠিক হচ্ছে না।’
গত মাসে বিশ্ব ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দল ছিল পাকিস্তান। ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে এসে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণও দিয়েছিল। এরপরই চির প্রতিদ্বন্দ্বি ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের পর গতপরশু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজিত হয় পাকিস্তান।
আগে ব্যাটিং করে সৌদ শাকিলের ৫২ ও বাবর আজমের ৫০ রানে ভর করে পাকিস্তান ২৭০ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়া করতে গিয়ে ২০৬ রানে ৪ উইকেট পতনে পর ২৫০ রানেই আরো চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। টেল এন্ডার কেশব মহারাহ ও তাবরাইস শামসির দৃঢ়তায় প্রোটিয়ারা শেষ উইকেটে ১১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। এর আগে শামসি ৬০ রানে নেন ৪ উইকেট। আইডেন মার্করাম খেলেন ৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
ম্যাচের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেয় বিশ্বকাপ দল নির্বাচনে বাবর ও ইনজামামের উপর সর্বময় ক্ষমতা অর্পন করা হয়েছে।